নারীদের যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন মহানবী (সা.)

ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী মেনে কি আমাদের সমাজে বিয়ে হচ্ছে..

নারীদের যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন  মহানবী (সা.)
ছবি: সংগৃহীত

নিউজডোর ডেস্ক ♦ বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ নিজেদের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার লাভ করেন। ইসলামে বিয়েকে ঈমানি দাবি করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআন শরীফেরে সূরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, “তোমরা বিয়ে করো সেই স্ত্রীলোককে, যাদের তোমাদের ভালো লাগে”।

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা নারীকে বিয়ে কর চারটি গুণ দেখে। তার ধন-সম্পদ, তার বংশ-মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য, এবং তার দ্বীন-ধর্ম দেখে।

হযরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বলেন, আমি জনৈক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করলাম। রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, “তুমি কি তাকে দেখেছ?: আমি বললাম না। “তিনি বললেন, তাকে দেখে নাও। কেননা এতে তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোকবাসা জন্মাবে। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩১০৭)।

আরেকটি হাদিসে এসেছে, এক লোক নবী করীম (সা.)- এর নিকট এসে বললেন যে, সে এক আনসারী মেয়েকে বিয়ে কর চায়। রাসূল (সা.) বলেন, “ তাকে দেখেছ কি? কেননা আনসারদের চোখে দোষ থাকে”।  

এখান থেকে বোঝা যায় যে, শুধু দেখাই যথেষ্ট নয়, বরং পাত্র-পাত্রীর মধ্যে কোনও ত্রটি রয়েছে কিনা তাও জেনে নেওয়া অধিকার দু’পক্ষের আছে।

তবে পাত্র ব্যতীত তার পরিবারের কোনও পুরুষদের পাত্রী দেখার অনুমতি শরীয়ত দেয়না। চুল বের করা ও হাঁটানোর মতো বিব্রতকর কাজ অবশ্যই পরিহারযোগ্য। এছাড়াও পাত্রী দেখতে গিয়ে এমন কিছু মন্তব্য না করা যাতে করে পাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন কষ্ট পান।

বিয়ের জন্য রাসূল (সা.) বাহ্যিক সৌন্দের্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যের প্রতি প্রাধান্য দিতে বলেছেন।

রাসূল (সা.) বলেছেন, “ যখন তোমাদের নিকট পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদুরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১০৮৪-৮৫)