দাবা-ক্যারম-লুডো খেলা কী হারাম

এনিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সঃ)

দাবা-ক্যারম-লুডো খেলা কী হারাম

নিউজডোর ডেস্ক ♦ আমরা আমাদের আশেপাশে প্রায়ই দেখি কেউ দাবা খেলছে, কেউ, লুডো আবার কেউবা ক্যারম। এসব খেলার উৎপত্তিস্থল ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থ্যাৎ দক্ষিণ এশিয়ায়। তবে আমরা অনেকেই জানিনা ইসলামে এসব খেলা হারাম।

মুসলিম হাদিসে আছে, মহানবী মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো সে যেন তার হাত শুকরের মাংস ও রক্তে ডুবালো”।

[সহীহ মুসলিম. হা. ২২৬০; সুনানে আবূ দাউদ, হা. ৪৯৩৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. ৩৭৬৩; সুনানুল কুবরা, নাসায়ী; তালখীসুল হাবীর, খ.৪ পৃ. ৬৩]

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) যদি তার পরিবারের কাউকে দাবা খেলতে দেখতেন, তাহলে তাকে মারতেন এবং দাবা ভেঙে ফেলতেন।

[মুয়াত্তা মালিক; আওজাযুল মাসালেক, শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কন্ধলভী, ১৭/৫৩]

হাদিসে এসব খেলা থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন,

আবূ মূসা আশআরী (রা.) হতে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো, সে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হলো।

[মুয়াত্তা মালিক, হা. ৭৬৯; সুনান আবূ দাউদ, হা.৪৯৩৮] সহীহ

ইমাম আবু হানিফা (রহ.)’র ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রহ.) বলেন,

“পাশা, শতরঞ্জ(দাবা) ও এরকম অন্যান্য খেলা খেলে কোনো কল্যাণ নেই”।

তাহলে এখানেই পরিস্কার হয় যে আমাদের এই ধরণের যত খেলা রয়েছে সেগুলোকে পরিহার করা।

আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের উচিত এসব খেলা থেকে নিজেদের বিরত থাকা। নিজেকে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী সাজিয়ে নেয়া।