ফেরিওয়ালা থেকে ‘ডিজিটাল ঘটক’, দিয়েছেন ১০৪টি বিয়ে

গাইবান্ধার ফেরিওয়ালা আসাদুল এখন ডিজিটাল ঘটক নামে বেশ পরিচিত

ফেরিওয়ালা থেকে ‘ডিজিটাল ঘটক’, দিয়েছেন ১০৪টি বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার ♦ পেশায় ছিলেন একজন ফেরিওয়ালা। ব্যবসা করতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে হতো তাকে। এতে করে বিভিন্ন এলাকার মানুষদের সাথে বেশ পরিচিত হন তিনি। যার কারণেই ঢুকে পড়ে ঘটকালি পেশায়।

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে আসাদুল ইসলামের গল্পটা এমনই।  এলাকার মানুষজন এখন তাকে ‘ডিজিটাল ঘটক’ হিসেবে জানেন ও চিনেন। আসাদুল ইসলাম ১০৪টি বিয়ের ঘটকালি সম্পন্ন করেছেন।

আসাদুল অবিবাহিত জীবনে ছিলেন একজন ফেরিওয়ালা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেচতেন বিভিন্ন ধরণের কসমেটিকস-চুড়ি ইত্যাদ। এই সুবাদে তিনি বিভিন্ন এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেন।

স্থানীয়রা জানান, সদা হাস্যোজ্জ্বল ডিজিটাল ঘটক আসাদুল। অতি স্বল্প সময়েই বেশ পরিচিতি লাভ করেন তিনি। আর এই কৌশল কাজে লাগিয়েই আজ তিনি ঘটক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে আসাদুল ফেরিওয়ালার পেশা ছেড়ে দিয়ে প্রতিবেশি এক শ্যালিকারে বিয়ের ঘটকালি দিয়ে শুরু তার ঘটক পেশার।

অ্যানালগভাবে বিয়ের কথা-বার্তা দেখা-শুনা অনেক সময় লেগে যায় বলে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিভাবকদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ে দেখাদেখির মাধ্যমে তিনি অনেক বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। এজণ্যই তাকে বলা ডিজিটাল ঘটক।

ঘটক আসাদুল বলেন, ২০০৩ সালে আমি ফেরিওয়ালার পেশা ছেড়ে দেই। তারপর থেকে শুরু করি এই ঘটকালি পেশা। এই পেমায় যেমন পেয়েছি সম্মান তেমনি বেড়েছে আমার উপার্জনও। গরিব মানুষের বিয়ে হলে উভয়পক্ষ থেকে পাই ৫ হাজার টাকা। ধনী পরিবারের বিয়ে হলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বকশিশ পাই। ১৮বছরের এই পেশা দিয়ে বাড়ি করেছি। একটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে বউ-সন্তান নিয়ে এখন সুখেই আছি।