বেকারত্ব ঘোচাতে মাছ চাষে ঝুকেছে পীরগঞ্জের মানুষজন

বেকারত্ব ঘোচাতে মাছ চাষে ঝুকেছে পীরগঞ্জের মানুষজন

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরের পীরগঞ্জের বেকার মানুষজন মৎস্য চাষে ঝুকেছেন। বেকারত্ব ঘোচাতে তারা মৎস্য চাষকে বেছে নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নিজ এলাকায়  আমিষের চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন উপজেলায় মাছ পাঠিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন। । 

উপজেলার সোনাতলা গ্রামে প্রায় ঘরেঘরে রয়েছে মাছ চাষি। এক সময়ের পরিত্যক্ত বিল গুলোতেও এখন বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। অধিকাংশ বিল এবং পুকুরে  কাতলা হাইব্রিড  কার্প জাতের মাছ চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পেয়েছে  এলাকার মাছ চাষিরা। 

সোনাতলা গ্রামের মাছ চাষি মাহাফুজার রহমান মাফু মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অলসতাই মানুষকে বেকার বানিয়ে দেয়। তিনি  নিজেও একদিন বেকার ছিলেন, অন্যের মাছ চাষ দেখে এলাকার ছোট পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছের চাষ করে লাভের মুখ দেখে তিনি বড় পুকুর এবং মরা ক্যানেল লিজ নিয়ে গত ১৫ বছর থেকে মাছ চাষ করে আসছেন। তার মাছ চাষের সাথে রয়েছেন বেশ কিছু বেকার যুবক। এখন তাদের কয়েকজনের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। তবে উপজেলা মৎস্য বিভাগের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় তিনি সফল। 

বড় ভগবানপুর (কাঁঠাল পাড়া) গ্রামের শামীম মিয়া বলেন, এদিকওদিক ঘুরাঘুরি করে সময় নষ্ট করেছি। এবছর প্রথম মাছের চাষ করেছি শমসের পাড়া গোদমের দিঘীতে। প্রথমেই মাছ চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছি। 

পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র  মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম  জানান, এ অঞ্চলে মাছ চাষ করেই অধিকাংশ মৎস্য জীবি স্বাবলম্বী হয়েছে এবং উপজেলার  আমিষের চাহিদা পূরণ করে পাশের কয়েকটি  উপজেলায়  এখানকার মাছ আমদানি করছে। 
 তিনি আরও বলেন, পীরগঞ্জ উপজেলায় অনেক পুকুর ও জলাশয় রয়েছে। সব জায়গায় এখন দেশি-বিদেশি সব জাতের মাছ চাষ করা হচ্ছে। তবে তাদের মৎস্য বিভাগ থেকে পরামর্শ এবং সহযোগিতা নিয়ে এ অঞ্চলের অনেক বেকার যুবকরা কর্মের মাধ্যমে সফল হয়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ সবসময় মাছ চাষিদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং মৎস্য বিভাগের সঠিক পরামর্শ পেয়ে অনেকেই ঘুরে দাড়িয়েছে।