গবাদী পশুর খাদ্য সংকটের আশংঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

এ থেকে উত্তোরণের দিক নির্দেশনা দিলেন বিশেষজ্ঞরা

গবাদী পশুর খাদ্য সংকটের আশংঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ রিপোর্টার ♦ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাদী জমি কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে খামারীরা গবাদী পশুর খাদ্য সংকটে পড়বে বলে আশংঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ থেকে উত্তোরণে সংখ্যা কমিয়ে উন্নত জাতের গবাদী পশু পালন করে অধিক মাংস ও দুধ উৎপাদনের মাধ্যমে চাহিদা মেটানোর পরামর্শ দিচ্ছে  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
এছাড়া খামারীদের উৎপাদিত দুধ ও নিরাপদ মাংস বিক্রির ব্যবস্থার উপর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে কাজ করছে এ প্রকল্পটি। সোমবার সকালে আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে ‘খামারীদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রæপ গঠন ও সংহতকরণ’ র্শীষক দিনব্যাপী কর্মশালায় এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ সময় প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রডিউসার গ্রæপের ম্যাপিং, বেইসলাইন সার্ভে, প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের রিস্ক এ্যাসেসমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট কৌশল নির্ধারণ, ভ্যালু-চেইন ভিত্তিক খামারী গ্রæপ গঠন ও সংহতকরণ, কৃষক মাঠ স্কুলের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ ম্যানুয়াল তৈরী এবং বিভিন্ন পলিসি ও পোল্ট্রি হ্যাচারী আইন প্রণয়নে এফএও এলডিডিপির প্রযুক্তিগত সেবা নিয়ে  কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন, এলডিডিপির চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মোঃ গোলাম রাব্বানী, এফএও’র টিম লিডার ড. জুলিয়াস মুচিমি ও ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. খান শহিদুল হক।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ ইসমাইল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুর রহিম।
কর্মশালায় রংপুর বিভাগের জেলা-উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) ৬০ জন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অংশ নেন।