গঙ্গাচড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি জবর-দখলের চেষ্টায় উত্তেজনা বিরাজ

গঙ্গাচড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি জবর-দখলের চেষ্টায় উত্তেজনা বিরাজ
গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর মৌজার ইসমাইল হোসেনের কেটে ফেলা মরিচ ক্ষেত

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি ♦ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিক্রিত জমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জবর-দখলের চেষ্টার ঘটনায় উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) উপজেলার আলমবিদিতর আদর্শপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
থানার অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত জহর উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জাল হোসেন (৬০) পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির আলমবিদিতর মৌজার ৪৫০৭ দাগে ৩৬ শতক ও ৪৪৮৭ দাগে ৩৬ শতক মোট ২ দাগে ৭২ শতকের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৬ শতক জমির মালিক। সে মোতাবেক পূর্ব থেকেই তিনি ৪৫০৭ দাগে ২৬ শতক ও ৪৪৮৭ দাগে ১০ শতক, দ্ইু দাগে মোট ৩৬ শতক জমি ভোগ করে আসছিলেন। 
পরবর্তীতে তিনি তার মালিকানা উক্ত ৩৬ শতক জমিই একাধিক দলীলে বিভিন্ন সময়ে তার ভাতিজা মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। তখন থেকে মোজাফফর হোসেন পৈত্রিক জমিসহ ক্রয়কৃত জমি ভোগ দখল করে আসছেন। মোজাফ্ফর হোসেনের মৃত্যুর পর তার ৩ ছেলে উক্ত পৈত্রিক জমি ভোগ-দখল করে আসছেন। 
সম্প্রতি তোফাজ্জল হোসেন ৪৪৮৭ দাগে অর্ধেক জমির (১৮ শতকের) মালিকানা দাবী করে আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায়ও তোফাজ্জল হোসেন ১৮ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক বিক্রি করায় অবশিষ্ট ৮ শতক জমি জবর-দখলের চেষ্টা করেন। ফলে ক্রেতা মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকদ্দমা (মিছ পি নং-১৯৩/২১, তারিখ ১৮/০২/২১) দায়ের করেন। যা গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে জারী করা হয়েছে।
এর পরও তোফাজ্জল হোসেন, তার ছেলে নুরুজ্জামান, আঃ সালাম, আঃ ছালেক, আঃ মালেক, আব্দুল খালেক, মেয়ে সোনাবি বিবি, জামাতা কালামত আলী, নাতী আতিকুর ও সাইয়েদুল, আতœীয়-স্বজন ও ভাড়াটে লোকদেরসহ প্রায় ২৫-৩০ জন লোক মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমিতে প্রবশ করে জমির বাঁশ ও সব্জি ক্ষেত কেটে জবর-দখলের চেষ্টা করে। এ সময় ইসমাইল হোসেন বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেন ওই দিনই রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঙ্গাচড়া থানার এসআই কিবরিয়া আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার জানান, অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।