পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লীতে আগুন, রংপুরে বামজোটের বিক্ষোভ মিছিল

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবি

পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লীতে আগুন, রংপুরে বামজোটের বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার ♦ রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু পল্লীতে সাম্প্রদায়িক হামলা,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাল,ডাল,তেল,চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয়  সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রংপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব হতে মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্তরে জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

পীরগঞ্জের রমানাথপুর হিন্দু পল্লীতে অগ্নিসংযোগ,গৃহপালিত পশু,ধান-চাল,হাড়ি-পাতিলসহ সর্বস্ব লুটপাটের প্রতিবাদে এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টির পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে  বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক প্রদান এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ(মার্কসবাদী),রংপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস,সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম,সিপিবি রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রাতুজ্জামান রাতুল প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দরা বলেন সাম্প্রদায়িক অপরাধের বিচারহীনতা,ক্ষমতায় থাকার জন্য মৌলবাদীদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টায় তাদেরকে সরকারের পরোক্ষ মদত দেয়ায় দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে।অবিলম্বে এই নোংরা খেলা বন্ধ করতে হবে।অহেতুক বিরোধী পক্ষের উপর দোষ না চাপিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ,খাবার ও নগদ অর্থ দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে।টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ব্যাপক দুর্নীতি।এসব কেন্দ্র থেকে মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে না।একসাথে তিনটি পণ্যের প্যাকেজ ৫০০/৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়।ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ তা কিনতে পারেনা।।মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ ভীষণ সংকটে পড়েছে।সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।এই সময়ে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরানোর জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে কিনা তাও ভেবে দেখার বিষয়।