সরকার আন্তর্জাতিক শক্তির কাছে দেশকে ভয়ংঙ্কর নিলামে তুলেছে।

রাষ্ট্রকে পকেটে ঢুকিয়ে দেশের সর্বাভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ♦ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বলছে তাদের এই জমিদারী চলবে। তাদের এ জমিদারী থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। লক্ষ মানুষের রক্তে কেনা দেশ নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছে। আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক একটি শক্তির কাছে দেশকে ভয়ংঙ্কর নিলামে তুলেছে। বুধবার (৭ জুন) বিকেলে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা-দিনাজপুর রোডমার্চ শেষে রংপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বলছে তাদের দল না করা মানুষেরা নাকি এদেশের নাগরিক না। তারা নাকি পাকিস্তান পন্থী। তারা দেশকে বিভক্ত করে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো রাষ্ট্রকে পকেটে ঢুকিয়ে দেশের সর্বাভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ না, দেশের মর্যাদা ও অস্তিত্ব নিরাপদ না। তিনি আরও বলেন, দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বিদ্যুত এখন যায় না মাঝে মাঝে আসে। বিদ্যুৎ নিয়ে শেখ হাসিনার জারিজুড়ি ফাঁস হয়ে গেছে। দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানী নেই। সরকার সাড়ে ১৪ বছরে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে চুরি করেছে। হুন্ডিতে আরও লক্ষ লক্ষ কোটি ডলার পাচার করেছে তারা। যে ডলার দেশে আসার কথা ছিল তা দেশে আসে নাই। আর শেখ হাসিনা শুধু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উপর সবকিছু চাপিয়ে দিচ্ছে। জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের দূর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ডলার সংকট তৈরী হয়েছে সেটি বলছে না। বিদ্যুতের সাথে দেশের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে কি, তাদের দলের লোকই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। সরকার এ সিন্ডিকেট থেকে ভাগ পায়। লুটের টাকা যোগান দিতে তারা এখন টাকা ছাপার অর্ডার দিয়েছে। ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য আরও বেড়েছে। সাধারণ গরীব মানুষের পকেট থেকে তারা বড় লোকের পকেটে টাকা ঢুকিয়ে পাচার করছে। তিনি বলেন, রোড মার্চকে ঘিরে আমরা যেখানে সমাবেশ ডেকেছি সেখানেই আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য সংগঠন শান্তি সমাবেশ ডাক দিয়েছে। সেখানে সমাবেশ করলে বিশৃঙ্খলা হবে তাই সমাবেশ করা যাবে বলে পুলিশ কৌশল নেয়। এর মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছে আর পুলিশ কৌশলে সেটি কার্যকর করছে। আমরা বলি এত চালাকি করে লাভ হবে না। সাড়ে ১৪ বছরের চালাকি মানুষে ধরে ফেলেছে। এসব করে পাড় পাওয়া যাবে না, যারা সমাবেশে বাঁধা দিবে তাদের নাম লিস্টে থাকবে। জনতার আদালত থেকে তারা রেহাই পাবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা ১৪ দফা দিয়েছে এর মধ্যে ৭ দফা হলে সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা। আর বাকী ৭ দফা মানুষের আর্থ সামাজিক পরিবর্তনের জন্য। আমরা বিএনপিসহ বিরোধী সকল দলকে ঐক্যবদ্ধ সরকারের গলায় গামছা বেঁধে ক্ষমতা থেকে নামাবো। তাই নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে এ বার্তা পৌঁছে দিন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব জনগণের হাতে আসবে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক আমিন উদ্দিন বিএসসি’র সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহŸায়কবীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।