দিনাজপুর র‌্যাবের অভিযানে জোড়া খুনের প্রধান আসামি আটক

উক্ত জোড়াখুনের ঘটনা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল এলাকায়

দিনাজপুর র‌্যাবের অভিযানে জোড়া খুনের প্রধান আসামি আটক

নিউজডোর ডেস্ক ♦ দিনাজপুরে জোড়াখুনের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুরে দিনাজপুর ও জামালপুর র‌্যাবের যৌথ অভিযানে প্রধান আসামিমো. মনিরুল ইসলামসহ ২ জনকে আটক করা হয়। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাবের সহকারী পরিচালক মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।  গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি  দিনাজুপর ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের খোদাত পুর এলাকার মো. ওমর আলীর পূত্র মো. মনিরুল ইসলাম (২৩)। এছাড়া আরেক আসামি হলো, মো. আজহার আলী (৬৫)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনাজপুর র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূলহোতা কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুর ও জামালপুর র‌্যাবের দুটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। 
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। আসামীকে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন খোদাতপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হায়দার আলী (৫২) একটি জমি ক্রয় করেন। ঐ জমিটি ক্রয় করার পর থেকেই হায়দার আলীর সাথে আসামীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) ও  প্রতিবেশী ভাতিজা মো. রাকিব হোসেন মন্ডল (২২) জমিতে পানি দেয়ার জন্য গভীর নলকুপ(ডিপ ঘর) এর কাছে যায়। হায়দার আলীর দুই ছেলে ডিপ ঘরের কাছে আসলে আসামিরা তাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজের একপর্যায়ে প্রধান আসামি মানিরুল হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) এর পিঠে ঢুকিয়ে দেয়। অন্যান্য আসামীরা হায়দার আলীর ভাতিজা মো. রাকিব হোসেন মন্ডল (২২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৃত্য নিশ্চিত করে। এতে করে তারা গুরুতর জখম হলে দ্রুত ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে।
উক্ত ঘটনায়  মৃত মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) এর বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি দিনাজপুরে বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে।